দুবাই যেতে কত টাকা লাগে । দুবাই ভিসার দাম কত
বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে তা মূলত ভিসার ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে। বর্তমানে ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী দুবাই যেতে সর্বোচ্চ প্রায় ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
তবে করনাকালীন সময়ের পূর্বে অর্থাৎ ২০২০ সালের আগে দুবাই যেতে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা খরচ হতো। যা গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ২ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
দুবাই অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত হওয়ায় প্রচুর টাকা ইনকাম করা যায়। যার ফলে প্রতিনিয়ত অসংখ্য বাংলাদেশি বেসরকারি ভাবে অধিক টাকা ব্যয় করে দুবাই ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার বেকারত্বের হার কমানোর উদ্দেশ্যে অল্প খরচে দুবাই সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে যাওয়ার খরচ কমিয়ে আনার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
দুবাই যেতে কত টাকা লাগে
বাংলাদেশ থেকে দুবাই যাওয়ার মোট খরচের অধিকাংশ টাকা ভিসা তৈরিতে ব্যয় হয়। বর্তমানে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ভাবেই দুবাই যাওয়া যায়।
সরকারি ভাবে বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৬ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
অপর দিকে বাংলাদেশ থেকে দুবাই বেসরকারিভাবে যেতে সর্বনিম্ন প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
দুবাই ভিসার দাম কত
ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী দুবাই ভিসার দাম কম বেশি হয়ে থাকে। সরকারি এবং বেসরকারি ভাবে দুবাই ভিসা তৈরি করা যায়। তবে সরকারি ভাবে ভিসা পাওয়া তুলনামূলক কঠিন।
বর্তমানে সরকারি ভাবে দুবাই ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
অপর দিকে বেসরকারিভাবে দুবাই ভিসা তৈরি করতে সর্বনিম্ন প্রায় ৬ লাখ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ প্রায় ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে।
দুবাই বেতন কত
দুবাই বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ধনী মুসলিম শহর। দুবাই কাজের বেতন কাজের ধরন, অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অবস্থানের উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়ে থাকে।
বর্তমানে দুবাই সাধারণ কাজের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ প্রায় ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দেওয়া হয়।
এছাড়া দুবাই চাহিদা এবং যোগ্যতা সম্পন্ন কাজের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ন্যূনতম প্রায় ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকার উপরে বেতন পাওয়া যায়।
দুবাই যেতে কত বছর বয়স লাগে
ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী দুবাই যাওয়ার বয়স নির্ধারিত হয়। যেমন দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থেকে ২১ বছর হতে হবে। কেননা ১৮ বছরের কম বয়সীদের কে শিশু বলা হয় এবং দুবাই শিশু শ্রম সম্পন্ন নিষিদ্ধ।
তবে ফ্যামিলি ভিসায় বসবাস করার জন্য অথবা টুরিস্ট ভিসায় ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ১৮ বছরের কম বয়সীরা দুবাই যেতে পারবে। ব্যক্তির বয়স নির্ণয়ের জন্য দুবাই ভিসা আবেদনের সময় জন্ম নিবন্ধন সনদ অথবা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি প্রদান করতে হয়।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে কত সময় লাগে
বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ের মোট দূরত্ব প্রায় ৩৫৪৩ কিলোমিটার। এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বাংলাদেশ থেকে দুবাই পৌঁছাতে প্রায় ৪ ঘন্টা ৫৫ মিনিট থেকে ৬ ঘন্টা ৩৫ মিনিট সময় লাগে।
তবে বিমান এয়ারলাইন্স ও বিরতির উপর ভিত্তি করে সময় কম বেশি হতে পারে। যেমন- ওয়ান স্টপ ফ্লাইট এর সাহায্যে দুবাই পৌঁছাতে ন্যূনতম প্রায় ৮ ঘন্টা ১৫ মিনিট সময় লাগে।
এছাড়া টু স্টপ ফ্লাইটের সাহায্যে বাংলাদেশ থেকে দুবাই পৌঁছাতে নূন্যতম প্রায় ১ দিন ৩ ঘন্টা থেকে ১ দিন ১০ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
দুবাই যেতে কি কি কাগজপত্র লাগে
ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী দুবাই যাওয়ার কাগজপত্র নির্ধারিত হয়ে থাকে। এছাড়া ভিসা এম্বাসি অথবা এজেন্সি অনুযায়ী কাগজপত্র পরিবর্তিত হতে পারে।
- ন্যূনতম ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট সাইজের সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের রঙিন ছবি।
- জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি।
- কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট (কাজের ভিসার জন্য)।
- মেডিকেল সনদ (ভিজিট ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
- আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ ( ব্যাংক স্টেটমেন্ট)।
- চাকরিজীবী হলে অফিসিয়াল এনওসির স্ক্যান কপি ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট।
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট। এছাড়া অন্যান্য কাগজপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)।
বাংলাদেশ থেকে দুবাই যেতে কত টাকা লাগে তা মূলত ভিসার ক্যাটাগরি, বিমানের ধরন ও কাগজপত্র সংগ্রহ করার খরচের উপর ভিত্তি করে কম বেশি হয়ে থাকে। দুবাই এবং বিমানের টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অসাধু দালাল থেকে সতর্ক থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিতে হবে। ধন্যবাদ।